eporcha.gov.bd খতিয়ান (ই-পর্চা) অনুসন্ধান নতুন পদ্ধতি

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হবার পর পূর্ব এবং পরেও অনেকে জমির জমা জমার বিভিন্ন পদের কাগজ পত্র হারিয়ে পেলেছে। অবশ্য আগে জমির দলিল যার জমি তার এই হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হইতো। তবে পরবতিতে যাহার জামে জমি আছে তাহাদের নামে বিভিন্ন সময়ে সিএস, এসএ, আরএস অথবা বিএস এ নাম অন্তরভূকি করা হয়। বর্তমানে সকল জমির মালিকানা দাবির ক্ষেত্রে দলিল এর পাশা পাশি সবচেয়ে গুরুত্ব পুরন হচ্ছে জমির খতিয়ান। যাহাকে অনেকেই পর্চা নামে ডাকে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমার সকলেরই কমবেশি জমি জামা নিয়ে সমস্যা পড়তে হয়। তবে কিছু কিছু সমস্যা সহজেই সমাধান করার পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে অনলাইন এর মাধ্যমে। যাহারা জমি কিনতে আগ্রহী বা বর্তমানে জমির মালিকানা আছেন, আপনাদের অনেকেরই দলিল আছে কিন্তু পর্চা খতিয়ান অনেক সময় আপনারা খুঁজে পান না । অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে সকল জমির পর্চা বা খতিয়ান সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় । এছাড়াও আপনি চাইলে ঘরে বসে মুহূর্তের মধ্যে হাতে পেয়ে যাচ্ছেন জমির অনলাইন খতিয়ান।
কারো যদি সার্টিফাইড কপি প্রয়োজন হয় তাহলে সরাসরি অনলাইনে আবেদন করে সহজেই হাতে পেয়ে যাবেন। যাদের দলিল আছে কিন্তু অনেক সময় খতিয়ান প্রয়োজন তারা অনলাইনের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন । আপনার এই জমিটা আপনার নামে আছে কিনা। যদি না থেকে থাকে তাহলে আপনি পরবর্তী ধাপে এগোতে পারবেন ।

জমির খতিয়ান বা পর্চা অনুসন্ধান ২০২৩

জমির খতিয়ান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন সিস্টেমের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট কাগজপত্র সাথে রেখে অনুসন্ধান করতে হবে। আসুন এখান থেকে জেনে নেই কিভাবে আপনি সহজেই জমির খতিয়ান বা পর্চা অনুসন্ধান করবেন।

খতিয়ান অনুসন্ধান করার পব্ধতি

জমির খতিয়ান ও দাগের তথ্য অনুসন্ধান ৩ ভাবে করা যায়। যথা-

  • অনলাইনের মাধ্যমে
  • ভূমি অফিসে গিয়ে
  • মোবাইল এপ্স এর মাধ্যমে

এখানে প্রতিটি বিষয় আলাদা ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে । আপনি যে কোন একটি পব্ধতি অনুসরন করে সহজেই খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। তার জন্য আপনার যেসকল তথ্য সাথে রাখতে হবে তা এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে।

খতিয়ান অনুসন্ধান করতে যে কাগজ পত্র প্রয়োজন

আজকের আলোচনার বিষয় হল অনলাইনে খতিয়ানের অনুসন্ধান। আপনি যদি চান, আপনি অনলাইনে জমির দলিল বা জমির দলিল সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন। তবে এই পর্চা বা খতিয়ান দেখার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু তথ্য সঠিক ভাবে জানতে হবে।

জমির ঠিকানা: জমি কোথায় অবস্থিত তার সম্পূর্ণ ঠিকানা থাকতে হবে। যেমন- বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম, জমির মৌজার নাম।
খতিয়ান সংক্রান্ত তথ্যঃ খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, জমির মালিকের নাম, পিতা ও স্বামীর নাম ইত্যাদি তথ্য জানা থাকতে হবে। সকল তথ্য আপনার জমির দলিলে থাকবে তাই সবচেয়ে ভালো জমির দলিল আপনার কাছে রাখুন।

খতিয়ান অনুসন্ধান অনলাইনের মাধ্যমে

আপনি আপনার কাছে থাকা কম্পিউটারের অথবা মোবাইল এর মাধ্যমে অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান (পর্চা) এবং দাগা তথ্য পরীক্ষা করতে পারেন। কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনে খতিয়ান খোঁজার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়.

ধাপ- ১ঃ ই-পর্চা ওয়েবসাইটে প্রবেশ

  • প্রথমেই গুগল সার্চে প্রবেশ করুণ; এবার অনলাইনে জমির পর্চা ও খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের (ই-পর্চা) এই ওয়েবসাইটে www.eporcha.gov.bd প্রবেশ করার পর নিচের ছবির মত এরকম একটি ইন্টারফেস আপনি দেখতে পাবেন। সেখান থেকে সার্ভে খতিয়ান অপশনটি বাছাই করতে হবে।

ধাপ- ২ঃ সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধানদ্বিতীয় ধাপে আপনি সার্ভে খতিয়ান নির্বাচন করার পর এই পেইজে যা যা আপনাকে পূরণ করতে হবে।

  1. বিভাগ (জমির বিভাগ নির্বাচন করুন)
  2. জেলা (জেলা নির্বাচন করুন)
  3. উপজেলা (উপজেলা নির্বাচন করুন)।
  4. খতিয়ান টাইপ নির্বাচন করুন (আর এস)।
  5. মৌজা ( জমির মৌজা নির্বাচন করুন)।
  6. মৌজা সিলেক্ট করার সাথে সাথে পরের কলামে নির্কধারিত মৌজার সমস্ত খতিয়ান নম্বর  এবং মালিকের নামও চলে আসবে। এখানে আপনার খতিয়ান খুজে না পেলে উপরে সার্চ বক্স এ সার্চ করুন। খতিয়ান নং অথবা মালিকের নাম লিখে।
  7. খতিয়ান নাম্বার এর উপর ডাবল ক্লিক করলেই নিচের নতুন একটি ইন্টারফেজ সামনে আসবে।

ধাপ ৩- খতিয়ান তথ্য যাচাই ও আবেদন

  • এখানে আপনার খতিয়ানের যাচাই করুণ করুন। খতিয়ান নাম্বার ও মালিকের নাম আসবে এবং এই খতিয়ান এর অনলাইন বা সারটিফাইড কপি জন্য আবেদন করতে ক্লিক করলেই নিচের নতুন একটি ইন্টারফেজ সামনে আসবে।

  • এখন থেকে QR কোড সহ খতিয়ানের অনলাইন/তাত্ক্ষণিক কপি ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যয়িত/যাচাইকৃত খতিয়ান কপির মূল্যও সংশোধন করে ১০০ টাকা করা হয়েছে।

  • অনলাইন খতিয়ান বা সার্টিফাইড খতিয়ান কপি পেতে গেলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে । তার জন্য নিচে একটি নতুন ইন্টার ফেস দেওয়া হয়েছে ওখানে আপনার কিছু তথ্য দিতে হবে। যেমনঃ জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, নিজের ইংরেজি নাম , জন্মতারিখ এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে অনলাইন কপি জন্য আবেদন করুন । এছাড়াও আপনি সার্টিফাইড কপির জন্য এখান থেকে আবেদন করতে পারবেন।