সর্বজনীন পেনশন স্কিম [অনলাইন আবেদন] ২০২৩ কোন প্যাকেজ কত টাকা পাবেন জেনে নিন বিস্তারিত

বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো চালু করলো সর্বজনীন পেনশন স্কিম। এই স্কিমের আওতায় সকল সরকারি স্বায়ত্ত শাসিত চাকুরীজীবী যাহার বর্তমানে সরকারি পেনশন পেয়ে থাকে তাহারা ব্যতীত দেশের সকল নাগরিক ২০২৩ সাল থেকে পেনশন সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হল।

আপনি যদি এই সর্বজনীন পেনশন স্কিম আগ্রহী হয়ে থাকেন তা হলে আপনাকে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে এই ওয়েবসাইটটি থেকে universal pension scheme আবেদন করতে পারবেন । অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রথমেই upension.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন কৃত ব্যক্তি কয়েক ধাপে আবেদন করতে পারবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল দিয়ে নিবন্ধন করবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য এই সময়ে প্রয়োজন হবে. যে কেউ এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারেন।

সর্বজনীন পেনশন [অনলাইন আবেদন]

সর্বজনীন পেনশন অনলাইন আবেদন করবেন যেভাবে

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল পেশার বাংলাদেশী নাগরিকরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্য কথায়, পাবলিক পেনশন স্কিমের একটি অংশ হতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। আবার বয়সের দিক থেকেও বিশেষ বিবেচনা করা হয়েছে। যাদের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে তারাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে তিনি টানা ১০ বছর অবদানের পর পেনশন পাবেন। অর্থাৎ, স্কিম অনুযায়ী, ব্যক্তি ৬০ বছর বয়স হলেই সরকার থেকে পেনশন পেতে শুরু করবেন, তাকে আর কোনো টাকা জমা দিতে হবে না। কিন্তু কেউ যদি ৫৫ বছর বয়সে পৌঁছে এই স্কিমে অংশ নেয় তাহলে ৬৫ বছর বয়স থেকে পেনশন পেতে শুরু করবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সমূহ দেখতে ক্লিক করুণ 

মাসিক সাবস্ক্রিপশন ছাড়াও, কেউ প্রতি তিন মাস বা বছরে একবার সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন দিতে পারেন। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে চাঁদা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী মাস পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই চাঁদা পরিশোধ করা যেতে পারে। এরপর থেকে প্রতিদিন ১% লেট ফি যোগ করা হবে। কেউ পরপর ৩টি কিস্তি না দিলে তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হবে। যাইহোক, যদি কেউ নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে, তবে ১২ মাস পর্যন্ত চাঁদা না দিলেও অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা হবে না।

অনলাইনে এবং যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে সাবস্ক্রিপশন প্রদান করা যেতে পারে। আপাতত শুধুমাত্র সোনালী ব্যাঙ্কই সার্বজনীন পেনশন স্কিমের অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আপনি যদি চান, আপনি সরাসরি সোনালী ব্যাংকে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারেন এবং চাঁদা পরিশোধ করতে পারেন। তবে টাকা যে কোন অনালাইন মাধ্যম টাকা জমা দিতে পারবেন।

  1. প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশি)
  2. সমতা (স্বল্প আয়ের ব্যক্তি)
  3. সুরক্ষা (স্বকর্ম ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক কর্মী)
  4. প্রগতি (বেসরকারি কর্মচারী/প্রতিষ্ঠান)

প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশি) পেনশন

এই প্যাকেজ শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য যারা বিদেশে কর্মরত বা অবস্থান করছে, তাদের জন্য এই মাসিক সাবস্ক্রিপশন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার, ৭৫০০ ও ১০ হাজার টাকা। ব্যক্তি চাইলে, তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সে সে দেশের সম মুদ্রায়  সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারেন। আপনি দেশে ফিরে আসার সময় স্থানীয় মুদ্রায়ও পরিশোধ করতে পারেন। এছাড়া প্রয়োজনে ইমিগ্রেশন স্কিম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। নীচে প্রবাস স্কিম এর টাকা পরিমাণ দেখানো হয়েছে। আশা করি এখান থেকে আপনাদের এই স্কিম এর একটি ধারনা দেওয়া হয়েছে।

প্রবাস (প্রবাসী বাংলাদেশি) পেনশন আবেদন

  

প্রগতি (বেসরকারি কর্মচারী/প্রতিষ্ঠান)

এই প্রকল্পটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য। এক্ষেত্রেও চাঁদার হারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি মাসে ২ হাজার, ৩ হাজার ও ৫ হাজার টাকা দিয়ে যে কেউ এই স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আবার প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের মালিকও প্রগতি স্কিমে অংশ নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে মোট অবদানের অর্ধেক কর্মচারী এবং বাকি অর্ধেক প্রতিষ্ঠান বহন করবে। যদি কোম্পানির মালিক পক্ষ না করতে চায় তা হলে আপনি নিজে আবেদন করতে পারবেন।

প্রগতি (বেসরকারি কর্মচারী/প্রতিষ্ঠান) পেনশন স্কিম আবেদন

যদি কোম্পানি পরিবতন  হয় তা হলে আপনি নতুন কোম্পানির তথ্য আপডেট করে দিলেই হবে। আসুন নিচের দেওয়া স্কিম গুল নিয়ে আলোচনা করি।

সমতা (স্বল্প আয়ের ব্যক্তি)

সমতা স্কিম হচ্ছে মূলত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য। এই স্কিমে সাবস্ক্রিপশনের হার এক – এক হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তি প্রতি মাসে পাঁচশত টাকা এবং বাকি পাঁচশত টাকা সরকার দেবে। । এ ক্ষেত্রে দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। উদাহরণস্বরূপ, যাদের বার্ষিক আয় এখন বার্ষিক ৬০ হাজার টাকার মধ্যে তারাই এই স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবে। আসুন এখান থেকে সরাসরি এই স্কিম আবেদন করি।

সমতা স্কিম আবেদন করুণ

সুরক্ষা স্কিম আবেদন

এই প্রকল্পটি স্বনির্ভর ব্যক্তিদের জন্য। অর্থাৎ, যারা কোথাও কাজ করেন না কিন্তু নিজেরা উপার্জন করতে পারেন, তারা সুরক্ষা প্রকল্পে অংশ নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার, কৃষক, শ্রমিক ইত্যাদি এর আওতায় আসে। স্কিমটির চার ধরনের সাবস্ক্রিপশন রেট রয়েছে – প্রতি মাসে ১০০০, ২০০০, ৩০০০ এবং ৫০০০ টাকা।

সুরক্ষা স্কিম আবেদন করতে ক্লিক করুণ এখানে

পেনশনের সুবিধা কত বছর জেনে নিন

এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ সরকার নিজেই এর নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এবং আমরা প্রতিটি পেনশনভোগীকে যে অনন্য নম্বর দেব, তারা সেই নম্বর দিয়ে সর্বদা তাদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে তা পরীক্ষা করতে পারে।” পেনশনভোগীরা জীবনের জন্য অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারেন। কিন্তু ৭৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই কেউ মারা গেলে তার নমিনি পেনশনভোগী ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পাবেন।

এবং যদি পেনশনভোগী অবদানের ১০ বছর আগে মারা যান, তবে তার আমানত লাভের সাথে তার মনোনীত ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশনে জমা করা টাকা যদি কারোর কোনো এক সময়ে তোলার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই সুযোগও রয়েছে। আবেদনের ভিত্তিতে তার মোট জমার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে নেওয়া যাবে।