রমজানে খতম তারাবি ২০২৪ পড়ার নতুন নিয়ম জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন

প্রবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজে কোরআন এর ৩০ টি সুরা পডা হয় তাই একে খতম তারাবি নামক স্পেশাল নামায বলা হয়। বিশেষ করে মাহে রমজানে  বিভিন্ন মসজিদে খতম তারাবি পড়া হয়। কিছু দেশে কোরআন খতম ও তারাবি পড়ার নিয়ম সকল মসজিদে এক নাও থাকতে পারে। যেমন কোরআন খতম করা হলে তারাবি পড়তে হবে বা কোরআন খতমের সাথে তারাবি পড়া নির্বাচন করতে হবে। তবে কোন দিন কোরআন এর কোন পারা পডতে হবে তা এতোদিন নিদিষ্ট নিলো না।

রমজানে খতম তারাবি ২০২৩ পড়ার নতুন নিয়ম

বাংলাদেশে বিখ্যাত ইসলামিক আলোচক মুফতি তাকজাক এর অনুসারে কোরআন খতম করার পর তারাবি পড়ার নিয়ম হলো নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। কোরআন খতমের পর যে সমস্ত নামায ও ইবাদত আদায় করা উচিত তার জন্য তারাবি পড়ার সময় নির্ধারিত নেই। তবে মুফতি তাকজাক এ একটি পরামর্শ দেন যে তারাবি নামায আদায়

খতম তারাবি পডার নতুন নিয়ম নিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন যা জানিয়েছে

বাংলাদেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবী পড়ার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে । একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবী পড়ার সময় সারাদেশের সকল পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে প্রায় দেশের অনেক মসজিদে খতম তারাবির নামাজ কোরআন খতম দিয়ে থাকে কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন বিভিন্ন চালু আছে ।

ইসলামী ফাউন্ডেশন নতুন নিয়েমে খতম তারাবি পডার নিয়ম দেখুন 

এই কারণে বিভিন্ন মসজিদে কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় সেই লক্ষ্যে মুসলমানদের মধ্যে পবিত্র কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে মনের মধ্যে অতিপ্তি থেকে যায় এবং কোরআন খতমের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয় । এই পরিস্থিতি নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী এবং কত পারা শেষ করতে হবে তার একটি নিয়মকানুন দেওয়া হয়েছে । নিচের টেবিল আকারে তা প্রদান করা হয়েছে।

কোরআন খতম তারাবি পডার নতুন নিয়ম

দিনপারামোট পারা
১.৫ পারা৯ পারা
২১১ পারা২১ পারা
মোট ২৭ দিন৩০ পারা

রমজানে তারাবি পড়ার নিয়ম ২০২৩

তারাবীহ বা তারাবি নামাজ হল রমজান মাসে মুসলমানদের দ্বারা সম্পাদিত একটি বিশেষ প্রার্থনা। এটি একটি ঐচ্ছিক নামাজ সুন্নতে মুক্কাদা এবং ইশার নামাজের পরে করা হয়।

তারাবীহ বা তারাবি নামাজের জন্য, আপনি এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে পারেন:

প্রথমে যথারীতি এশার নামাজ আদায় করুন। এর পরে আপনি তারাবি নামাজ পডার নিয়ত করুন যে আপনি তারাবীহ নামাজ পড়ছেন।

এশার নামাযের পর তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলুন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ শুরু করুন। অতঃপর কুরআনের যে কোন সূরা পাঠ করুন। প্রথম সূরার পর আরেকটি তাকবির করে আরেকটি সূরা পাঠ করবে।

রমজানে খতম তারাবি ২০২৩ পড়ার নতুন নিয়ম পিডিএফ

প্রতিটি সেটের মধ্যে অল্প বিরতি বা বিশ্রাম নিয়ে দুই রাকাতে জোড়ায় সূরা পড়তে থাকুন। তারাবীহের শেষ করার পর, সালাত শেষ করার জন্য তাসলিম (সালাম বলা) পডুন। অন্যান্য মুসলমানদের সাথে জামাতে তারাবীহ পালন করলে আপনি অধিক সোয়াব পাবেন, তবে এটি পৃথকভাবেও করা যেতে পারে।

রমজানে তারাবি পড়ার নিয়ম কানুন জেনে রাখুন

তারাবির নামাজের নিয়ত:

نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

তারাবি মোনাজাত একটি ইসলামী দুয়ার প্রকার যা রমজান মাসের নাফল ইবাদতের একটি অংশ হিসাবে প্রচলিত। এই দুয়াটি অনেক পরিচিত এবং প্রচলিত হয়:

তারাবিহ নামাজের দোয়া:

তারাবি নামাজের ৪ রাকাত এর মাজে এই দুয়া পডি আমরা । আসুন দুয়াটি জেনে নেই।

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

এই দুয়া পডে আবার তারাবি নামাজ শুরু করা উত্তম। এভাবেই ৪ রাকাত করে ২০ রাকাত বা যে পরিমাণ নামাজ পডেন তার পর এই দুয়া পডে তারিবির মোনাজাত সম্পূর্ণ করতে হবে। আল্লাহ আমাদের রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদাত আমল করার তইফিক দান করুণ।

তারাবিহ শেষে মুনাজাত:

اَللَهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْجَنَّةَ وَالنَّارِ- بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارُّ – اَللَّهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ يَا مُجِيْرُ- بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّحِمِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’