জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ফি [শ্রেণী ভিত্তিক] খরচ কমিয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন ২০২৪

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন খরচ কমে নতুন প্রজ্ঞাপন ২০২৪ জারি হচ্ছে শিগগিরই। এর আগে জমি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন খরচ ও নির্মাণ ব্যয় বাড়ানো হয়েছে । এতে করে মানুষের অনীহা বেড়ে গেছে । তার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায় ও কমে গেছে। তাই সরকার নতুন চিন্তাধারা করেছে যে জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে উৎস কর আদায় পদ্ধতি বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন কোন এলাকায় কত জেনে নিন

বিদ্যমান এলাকাভিত্তিক উৎস কর হারের পরিবর্তে মৌজা ও শ্রেণীভিত্তিক আবাসিক বাণিজ্যিক রিয়েল স্টেট, ডেভলপার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকৃত জমি আদায় করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি । এতে জমি ও ফ্লাট রেজিস্ট্রেশন খরচ কমবে বলে জানিয়েছেন এই ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। নতুন পদ্ধতিতে জমি ৫ টি শ্রেণী করা হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরো দেখুনঃ ভূমি উন্নয়ন কর: নাগরিক নিবন্ধন [অনলাইনে] জমির খাজনা দেওয়ার নতুন নিয়ম ২০২৪

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন নতুন পদ্ধতিতে শ্রেণী ভিত্তিক খাজনা

জমি বা ফ্লাট রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতিতে জমির পাঁচটি শ্রেণী করা হচ্ছে এগুলোনিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আসুন আমরা শ্রেণী ভিত্তিক এই সব একালার জমি রেজিস্ট্রেশন খাজনা বা কর জেনে নেই।

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন শ্রেণী কঃ

  • রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক),
  • চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)
  • গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
  • জাতীয় গৃহায়ন গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ
  • ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে নির্মাণাধীন বাণিজ্যিক এলাকা(প্লট বা জমি)

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন শ্রেণী খঃ

শ্রেণী খ হচ্ছে ক শ্রেণীতে উল্লেখিত আবাসিক এলাকা সমূহ যাহা উপরে উল্লক্ষিত আছে।

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন শ্রেণী গঃ

  • রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
  • চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
  • গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
  • জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ
  • ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্মাণাধীন নয় কিন্তু ডেভলপার বা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক এলাকা।

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন শ্রেণী ঘঃ

শ্রেণী ঘ হচ্ছে গ শ্রেণীতে উল্লেখিত আবাসিক এলাকা সমূহ যাহা উপরে উল্লক্ষিত আছে।

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন শ্রেণী ঙঃ

এই শ্রেণী হচ্ছে ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণী ব্যতীত অন্য সব এলাকা অর্থাৎ দেশের পৌরসভা ও প্রতান্ত এলাকার জমি বা ফ্লট ।

এছাড়াও মৌজাভিত্তিক পৃথক কর নির্ধারণ করা হচ্ছে যে সকল এলাকায় এগুলো হচ্ছে- ঢাকায় গুলশান, বনানী, মতিঝিল, তেজগাঁও এলাকার সব। মৌজাভিত্তিক জমির কেনাবেচায় শ্রেণীভিত্তিক হবে।  ধানমন্ডি, ওয়ারী , তেজগাঁও শিল্প এলাকা , শাহবাগ , রমনা, পল্টন, বংশাল, নিউমার্কেট , কলাবাগান থানা, খিলক্ষেত কাফরুল, মোহাম্মদ থানা , ক্যান্টনমেন্ট থানা চকবাজার বিমানবন্দর উত্তর পশ্চিম বঙ্গসাল থানা।

জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন কর

নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক থেকে ঘ শ্রেণী উল্লেখ করা জমিতে স্থাপনা, বাড়ি ফ্ল্যাট  অথবা ফ্লোর স্পেস থাকলে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৮০০ টাকা অথবা দলিল মূল্যের ৮% সে হারে বাড়তি উৎস কর দিতে হবে । এছাড়া ঙ শ্রেণীর জমিতে স্থাপনা বাড়ি ফ্ল্যাট এপার্টমেন্ট অথবা স্পেস থাকলে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৫০০ টাকা অথবা দলিল মূল্যে ৬ শতাংশ অধিক । সেই হারে বাড়তি উৎস কর দিতে হবে।

জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় দলিল লিখিত মূল্যের এক শতাংশ রেজিস্ট্রেশন ফি ১.৫০ শতাংশ স্ট্যাম্প সংখ্যা ২ থেকে ৩ শতাংশ রাজউক ও সিডিএ কর্তৃক এলাকার আয়কর আইনে তফসিল অনুযায়ী উৎসব গঠিত হবে।

জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনের সঙ্গে নির্মাণ ব্যয়

এর আগে জমি বেচাকেনা রেজিস্ট্রেশন কর দিগুন করা হয়েছে। যদিও পর্বতটিতে দেখা গেছে রেজিট্রেসন সংখ্যা কমে গেছে তাই নতুন প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কর কমানো হবে এবং শ্রেণী ভিত্তিক কর ধরা হবে।