বাংলাদেশে নতুন করে জমির জরিপ এর কাজকর্ম শুরু হয়েছে যাহার নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটেল সার্ভে সংক্ষেপে বিডিএস বলা হয়। BDS রেকর্ড ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা থেকে শুরু হয়েছে এই নতুন ডিজিটেল সার্ভে । এই নতুন ভাবে কাজকর্ম এর মাধ্যমে সহজেই ভূমি সকল তথ্য এখন থেকে অনলাইনে পাবেন। ভূমির ম্যাপ, জমির খারিজ, জমির নামজারি, সিএস,এসএ, আরএস সর্বশেষ বিএস জরিপ করা হয়ে ছিলো।
ভূমি নতুন ডিজিটাল সার্ভে (BDS) ২০২৩ অনলাইন
সরকার সকল জমির তথ্য হাল নাগাদ করার লক্ষে নতুন ভাবে কাজ্জক্রম শুরু করেছে। এখন থেকে ভূমির সকল তথ্য আপনি সহজেই অনলাইন থেকে দেখতে পারবেন।
আরো দেখুনঃ
জমির মালিকানা অনলাইনে সঠিকভাবে যাচাই করুন ২০২৩ ভূমি মন্ত্রণালয়
জমির খতিয়ান (ই-পর্চা) ডাউনলোড করুন বিনামূল্যে। eporcha gov bd
জমি বাটোয়ারা বা বন্টননামা দলিল কম খরছে কীভাবে করবেন জেনে নিন।
[জন্ম সনদ] অনলাইন নিবন্ধন, সংশোধন, ভেরিফাই ও ডাউনলোডের নতুন নিয়ম ২০২৩ঃ bdris.gov.bd
ভূমি নতুন ডিজিটাল সার্ভে (BDS) ২০২৩ জরিপকালে জমির মালিকের যা যা লাগবে
ই-নামজারি আবেদন যাচাই করুন অনলাইনে-ভূমি মন্ত্রণালয় land gov bd
বিডিএস জরিপে যেভাবে করা হচ্ছে
বিডিএস জরিপ হচ্ছে অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে, নির্ভুলভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ডিজিটাল সার্ভে, স্যাটেলাইট, ড্রোন তথা ইউএভি এবং গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনের সমন্বয়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
সারা দেশে ডিজিটাল ভূমি সার্ভে বা বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ভূমি জরিপ সম্পূর্ণ হলে ভূমি ব্যবস্থাপনা অফিসের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে সকল ভূমি মালিক এই সকল আপডেট তথ্য প্রয়োজন মত দেখতে পারবেন।
অনলাইনে জমি ঠিক আছে কি না চেক করুণ
মৌজা-ম্যাপ এবং রেকর্ডের মধ্যে সংযোগ জমির মালিকদের সহজেই অনলাইনে রেকর্ড এবং প্লট প্রবেশ করতে সক্ষম করবে। বিডিএস-এর পুরো সিস্টেমকে জাতীয় ভূমি সার্ভিস অটোমেশন সিস্টেমের একটি মডিউল হিসেবে একত্রিত করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে নির্ধারিত জিও-রেফারেন্সড মৌজা মানচিত্র ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পে প্রদান করা হবে। জমি বিক্রির পর জমির নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানচিত্রের সীমানাও বদলে যাবে।
ই-নামজারি আবেদন যাচাই করুন অনলাইনে-ভূমি মন্ত্রণালয় land gov bd
BDS রেকর্ড এর জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে
১। দলিল ও রেকর্ডীয় খতিয়ান সংগ্রহে রাখুন।
২। নামজারী না থাকলে অতিদ্রুত জমির নামজারী সম্পূর্ণ করুন।
৩। খাজনা হালনাগাদ রাখুন।
৪। পর্চা ও নকশা অনুযায়ী জমি মেপে রাখুন।
৫। জমির সীমানা আইল নিধারন করে রাখুন।
৬। জমি দখলে রাখুন।
৭। ইজমালি ও পৈত্রিক সম্পত্তি হলে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করে রাখুন, প্রয়োজনে বন্টন নামা দলিল করুন, প্রয়োজনে এওয়াজ বদল করুন এবং নামজারী করে রাখুন।
৮। আগত জরিপে উক্ত জমির খাজনা দেওয়া না থাকলে জমি খাস হয়ে যাবে।
৯। যাদের জমির দলিল/কাগজ পত্র ও খাজনার দাখিলা নেই তারা জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মন-মানসিকতা প্রস্তুত করুন।
জমির পুরাতন দলিলে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দ বা নামের সংক্ষিপ্ত রুপ জেনে নিন।
BDS রেকর্ড যেভাবে আসছে
১) সিএস রেকড (CS)
বাংলাদেশে প্রথম ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) প্রোগ্রাম তথা ভূ-সম্পদ জরিপ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছিল ১৮৮৮ সালে কক্সবাজারের রামুতে। রামুর অভিজ্ঞতার আলোকে ১৮৯০ সালে চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে সমগ্র পূর্ববঙ্গে সিএস সার্ভে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৯৪০ সালের দিনাজপুর জেলায়।
২) S.A. রাজ্য অধিগ্রহণ সমীক্ষা:-
১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর, সরকার ১৯৫৬ সালে সমগ্র পূর্ববঙ্গ প্রদেশে জমিদারি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই জরিপটি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল। জরিপে, জমির মালিকের নাম এবং জমির বিবরণ সহ হাতে লিখিত রেকর্ড/খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। তখন এই রেকর্ডের মোট তিনটি কপি প্রস্তুত করা হয় যার মধ্যে একটি জেলা রেকর্ড রুম, একটি তহসলী (ইউনিয়ন ভূমি অফিস) অফিসে এবং অন্যটি সার্কেল ইন্সপেক্টর (উপজেলা রাজস্ব) অফিসে দেওয়া হয়।
৪) বিএস সার্ভে (বাংলাদেশ জরিপ)
বিএস সার্ভে মূলত বাংলাদেশ সেভ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। জরিপটি ভূমি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। ১৯৯৮ সাল থেকে চলমান জরিপকে বিএস খতিয়ান বা সিটি বলা হয়। তা এখনও সারা দেশে চলছে। শুধু ঢাকা শহরেই বিএস খতিয়ানকে সিটি সার্ভে বলা হয়। এই সিটি জরিপের আরেক নাম ঢাকা মেট্রোপলিটন জরিপ। আরএস জরিপের পর, বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সাল থেকে এই জরিপের উদ্যোগ নেয়। একে বলা হয় আধুনিক জরিপ।
৫) BDS রেকর্ড
বিডিএস রেকড হচ্ছে সর্ব শেষ নতুন রেকড এই রেকড এর কাজ্জক্রম শুরু হচ্ছে ২০২৩ সাল থেকে। এই রেকড এর মাধ্যমে সারা দেশের ভূমি সমূহ সকল কাজ্জক্রম অনলাইন করা হচ্ছে।